তুর্কি সাইপ্রাস বেতন কত

সাইপ্রাস দ্বীপের উত্তর পূর্বাঞ্চল নিয়ে গঠিত তুর্কি সাইপ্রাস একটি স্বল্প স্বীকৃত রাষ্ট্র। তবে বর্তমানে দেশটি অর্থনৈতিক ভাবে অনেক উন্নতি লাভ করেছে।

যার ফলে প্রতিনিয়ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য মানুষ শ্রমিক হিসাবে তুর্কি সাইপ্রাস জীবিকা নির্বাহের জন্য যায়। তুর্কি সাইপ্রাস বেতন কত জানা থাকলে কাজ নির্বাচন এবং ভিসা তৈরির ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যায়।

বর্তমানে তুর্কি সাইপ্রাস কাজের সর্বনিম্ন বেতন ন্যূনতম প্রায় ২৪ হাজার লিরা এবং সর্বোচ্চ বেতন ন্যূনতম প্রায় ৬০ লিরা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তুর্কি সাইপ্রাস বেতন কত

কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বেতন বেশি হয়ে থাকে। তুর্কি সাইপ্রাস শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন কাজ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা হীন কাজের ক্ষেত্রে বেতন ভিন্ন হয়ে থাকে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন কাজের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ন্যূনতম প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অপর দিকে শিক্ষাগত যোগ্যতা হীন কাজের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ন্যূনতম প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তুর্কি সাইপ্রাস কোন কাজের বেতন বেশি

তুর্কি সাইপ্রাস বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে কিছু কাজের চাহিদা এবং বেতন বেশি হয়ে থাকে।

চাহিদা সম্পন্ন কাজে দক্ষতার প্রমাণ দেখাতে পারলে অধিক টাকা ইনকাম করা যায়। তুর্কি সাইপ্রাস শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন কাজের বেতন সব থেকে বেশি হয়ে থাকে।

অর্থাৎ শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন কাজ যেমন ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার দের ন্যূনতম মাসিক বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা হীন কাজের মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির চাকরি ও মালিকাধীন কাজের বেতন সব থেকে বেশি হয়ে থাকে।

তুর্কি সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে তুর্কি সাইপ্রাস যেতে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়। বাংলাদেশ থেকে তুর্কি সাইপ্রাস যাওয়ার খরচ মূলত ভিসা এবং বিমানের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে।

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে তুর্কি সাইপ্রাস যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

এছাড়া আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র তৈরীর খরচ মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে তুর্কি সাইপ্রাস যেতে ন্যূনতম বাজেট ১২ লাখ টাকা রাখতে হবে।

তুর্কি সাইপ্রাস কোন কাজের চাহিদা বেশি

অদিক টাকা ইনকাম করতে হলে অবশ্যই চাহিদা সম্পন্ন কাজের ভিসা নিয়ে তুর্কি সাইপ্রাস যেতে হবে। তুর্কি সাইপ্রাস বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকলেও কিছু কাজের চাহিদা বছর জুড়ে রয়েছে।

এ সকল চাহিদা সম্পন্ন কাজের ভিসা নিয়ে তুর্কি সাইপ্রাস গেলে দীর্ঘ সময় একই ভিসা নিয়ে কাজ করা যায়। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে তা পুনরায় বৃদ্ধি করা যায়।

  • রেজিস্টার্ড নার্স, সফটওয়্যার ডেভেলপার, প্রকল্প ব্যবস্থাপক।
  • ডেলিভারি বয়, মেকানিক্যাল টেকনিশিয়ান, ফুড সার্ভিস ওয়ার্কার।
  • ট্রাক ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার।

তুর্কি সাইপ্রাস যেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে তুর্কি সাইপ্রাসের মোট দূরত্ব প্রায় ৫,৫৫৯ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ পথ স্থলপথে অতিক্রম করা প্রায় অসম্ভব। জল পথেও বাংলাদেশ থেকে তুর্কি সাইপ্রাস যাওয়া প্রায় অসম্ভব।

কেবলমাত্র আকাশ পথে বিমানের সাহায্যে বাংলাদেশ থেকে তুর্কি সাইপ্রাস যাওয়া যায়। আকাশ পথে বাংলাদেশ থেকে তুর্কি সাইপ্রাস যেতে আনুমানিক প্রায় ১৩ ঘন্টা থেকে ২১ ঘন্টা সময় লাগে।

বিমানের স্টপেজের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ থেকে তুর্কি সাইপ্রাস যেতে প্রায় ১ দিন ১ ঘন্টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

তুর্কি সাইপ্রাস যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

তুর্কি সাইপ্রাস যেতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন তা ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়ে থাকে। তবে অধিকাংশ ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে কাগজপত্র একই থাকে।

  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  • বৈধ পাসপোর্ট যার মেয়াদ সর্বনিন্ম ৬ মাস থাকতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র এর ফটো কপি।
  • বয়স নির্ণয়ের জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি।

বর্তমানে তুর্কি সাইপ্রাস ভিসার চাহিদা পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে অনেক অসাধু দালাল ও এজেন্সি সিন্ডিকেট তৈরির মাধ্যমে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করছে। তাই ভিসা তৈরির ক্ষেত্রে সকল দালাল থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ধন্যবাদ।

লেখালেখি করতে ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে লেখালেখি করি। আমাদের এই সাইটে ভিসা ও পাসপোর্ট সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে থাকি।

2 thoughts on “তুর্কি সাইপ্রাস বেতন কত”

  1. রেজিস্ট্রার নার্স হিসাবে যাওয়ার প্রোসেস টা কি??

    Reply

Leave a Comment