পোল্যান্ড ভিসা খরচ 2024

বর্তমানে পোল্যান্ড পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা, ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসা,উন্নত জীবন যাপনের জন্য ফ্যামিলি ভিসা এবং কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে।

পোল্যান্ড ভিসা খরচ ভিসার ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে। বর্তমানে সরকারি ভাবে ভিসার জন্য আবেদন করলে পোল্যান্ড ভিসা খরচ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।

বর্তমানে সরকারি ভাবে পোল্যান্ড ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৪ লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

পোল্যান্ড ভিসা খরচ

প্রতিনিয়ত পোল্যান্ড বাংলাদেশ থেকে সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। বর্তমানে পোল্যান্ড ভিসার চাহিদা পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে পোল্যান্ড ভিসা খরচ পূর্বের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী পোল্যান্ড ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। যেমন-

পোল্যান্ড কন্সট্রাকশন ভিসা খরচ

প্রতিনিয়ত পোল্যান্ড উঁচু উচু বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। এ সকল বিল্ডিং তৈরিতে প্রচুর লেবার প্রয়োজন। বর্তমানে পোল্যান্ড কনস্ট্রাকশন ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

পোল্যান্ড কোম্পানি ভিসা খরচ

বর্তমানে পোল্যান্ড কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে পোল্যান্ড কোম্পানি ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

পোল্যান্ড কৃষি ভিসা খরচ

বর্তমানে পোল্যান্ড চাহিদা সম্পন্ন ভিসা গুলোর মধ্যে কৃষি ভিসা অন্যতম। বর্তমানে পোল্যান্ড কৃষি ভিসার সর্বনিম্ন দাম ন্যূনতম প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

পোল্যান্ড যাওয়ার খরচ ভিসার ক্যাটাগরি বিমানের ধরন এবং এজেন্সির উপর নির্ভর করে। বর্তমানে বেসরকারি এজেন্সির সাহায্যে পোল্যান্ড যেতে ন্যূনতম প্রায় ৯ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়।

তবে এজেন্সিতে পরিচিত লোক থাকলে পোল্যান্ড যাওয়ার খরচ কিছুটা কম হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পোল্যান্ড যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত কম খরচ হয়।

এছাড়া সরকারি ভাবে কম খরচে পোল্যান্ড যাওয়া যায়। সরকারি ভাবে পোল্যান্ড যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

পোল্যান্ড বেতন কত

পোল্যান্ড বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করা হয়। পোল্যান্ড সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তবে দক্ষ শ্রমিকদের বেতন তুলনামূলক বেশি। পোল্যান্ড একজন দক্ষ শ্রমিক সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকে।

এছাড়া পোল্যান্ড শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং দক্ষতা সম্পন্ন উচ্চপদস্থ কাজের বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ১ লাখ টাকার উপরে হয়ে থাকে।

পোল্যান্ড কোন কাজের বেতন বেশি

পোল্যান্ড চাহিদা সম্পন্ন কাজের বেতন তুলনামূলক বেশি। বর্তমানে পোল্যান্ড আইটি অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ওয়েব ডেভেলপার এবং ওয়েব ডিজাইনারের বেতন বেশি হয়ে থাকে।

আইটি সেক্টরে ন্যূনতম বেতন ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া পোল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের বেতন তুলনামূলক বেশি।

একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার প্রতি মাসে ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকে। এছাড়া সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে ড্রাইভার, ক্লিনার, ডেলিভারি বয় এবং নির্মাণ শ্রমিকের বেতন বেশি।

পোল্যান্ড এ সকল চাহিদা সম্পন্ন সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন প্রদান করা হয়।

শেষ কথা

বর্তমানে এজেন্সির সাহায্যে পোল্যান্ড ভিসা তৈরি করা যায়। তবে অনেক অসাধু দালাল এবং এজেন্সি কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পোল্যান্ড ভিসা খরচ বৃদ্ধি করছে। এ সকল অসাধু দালাল ও এজেন্সি কর্মকর্তাকে বয়কট করতে হবে এবং প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হতে হবে। ধন্যবাদ।

লেখালেখি করতে ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে লেখালেখি করি। আমাদের এই সাইটে ভিসা ও পাসপোর্ট সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে থাকি।

1 thought on “পোল্যান্ড ভিসা খরচ 2024”

  1. পোলেন্ডের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পরে । ভিসা,টিকিট ও অন্যান্য খরচ বাবদ কত টাকা লাগতে পারে

    Reply

Leave a Comment