পোল্যান্ড একটি উন্নত দেশ। যা বহির্বিশ্বের নাগরিকদের জন্য প্রতিবছর প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়ে থাকেন। পোল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশের মধ্য অঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল। বর্তমানে পোল্যান্ড ইউরোপের একটি সদস্য দেশ, তবে সেনজেনভুক্ত নয়।
দেশের অর্থনীতি অনেক বেশি উন্নত। তাই বাংলাদেশের বেশিরভাগ নাগরিক কর্মসংস্থানের জন্য পোল্যান্ডে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। তবে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ বিভিন্ন ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে।
আর বাংলাদেশী নাগরিকেরা পোল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতেই বেশি পৌছে থাকেন। তাই ভিসা তৈরি করার পূর্বে পোল্যান্ড কাজের বেতন কত তা বিস্তারিত জেনে রাখা উচিত। তবে কাজ অনুযায়ী এদেশের নূন্যতম বেতন ৫০-৬০ হাজার টাকা। যা অনেক বাংলাদেশী নাগরিককে এ দেশে যেতে আকর্ষন করে।
পোল্যান্ড কাজের বেতন কত
পোল্যান্ডের যেহেতু বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। তাই প্রত্যেক কাজ অনুযায়ী একজন কর্মীর বেতন নির্ধারণ করা হয়।
কর্মীর অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়।
যেমন পোল্যান্ডের একজন ইলেকট্রিশিয়ান এর বেতন ন্যূনতম প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা। এবং কোম্পানির কাজ অনুযায়ী ন্যূনতম ৮০ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা।
তবে পোল্যান্ড অবস্থিত একজন লেবার বা শ্রমিকের বেতন সবথেকে কম হয়ে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
পোল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত
পোল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ভুক্ত হলেও এদেশের নিজস্ব মুদ্রা চালু রয়েছে। তবে সকল কর্মীদের বেতন প্রদান করা হয় ইউরোপের অন্যান্য দেশের বেতনের তালিকার মত।
পোল্যান্ডের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন বা গড় নির্ধারিত হয় ২৮৬৬ জলোটি অর্থাৎ ৬৭০ ইউরো। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৯০ হাজার টাকা।
এছাড়া পোল্যান্ডের কিছু কাজের বেতন ন্যূনতম ৪৫০ থেকে ৫০০ ইউরো প্রদান করা হয়। যা বাংলাদেশী টাকায় পোল্যান্ডের ন্যূনতম বেতন হয় ৬০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা।
পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ডে যেতে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া এবং ভিসা অনুযায়ী ন্যূনতম ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা লাগে। এবং কাজের ভিসার ক্ষেত্রে অথবা বিজনেস ভিসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগে।
শুধুমাত্র স্টুডেন্ট ভিসা ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা পোল্যান্ড যেতে ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাগে। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পোল্যান্ড যেতে ৮-১০ লক্ষ টাকা এবং কিছু ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা লাগে।
পোল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি
স্বাভাবিক ভাবে বাংলাদেশ থেকে যে সকল ভিসা পাওয়া যায় তার বেশির ভাগই পোল্যান্ডে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে।
তাই পোল্যান্ডে যাওয়ার জন্য যে কাজের ভিসা তৈরি করুন না কেনো অবশ্যই সেই কাজের প্রতি অভিজ্ঞ হয়ে উঠুন।
তবে বরাবরের মতন ইউরোপের অন্য দেশের মতো পোল্যান্ডে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এনালাইসিস, সাইবার সিকিউরিটি ও মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে।
তবে পোল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা শ্রমিক হিসেবে যে কাজের চাহিদা পোল্যান্ডের সব থেকে বেশি তা হচ্ছেঃ
- আইটি
- ড্রাইভিং
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার
- মেকানিক্যাল
- কৃষি
- হোটেল ও রেস্টুরেন্ট
- ক্লিনার
- ডেলিভারি বয়
- সেলসম্যান
- ফুড ডেলিভারি ম্যান
- কন্সট্রাকশন
- প্লাম্বার
পোল্যান্ডে যাওয়ার পূর্বে অথবা ভিসা তৈরি করার পূর্বে সকল কাজের বেতন সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিবেন। যে দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে পোল্যান্ড যাচ্ছেন তাদের কাছ থেকে সঠিক বেতন তালিকা জেনে নিন। যাতে বেতন নিয়ে প্রতারণার শিকার না হতে হয়। ধন্যবাদ
I have a work permit in Poland. But I am not getting any medium to apply visa. Can you find any good agency… pls
sry, i don’t have