অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করা যায়। বর্তমানে এমআরপি পাসপোর্ট এর পরিবর্তে আধুনিক ই পাসপোর্ট সেবা প্রদান করা হয়।
ই পাসপোর্ট সম্পূর্ণ সিল স্বাক্ষর ছাড়া মেশিনের মাধ্যমে অল্প সময়ের ভিতরে নিজে নিজেই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করায় বর্তমানে ই পাসপোর্ট সকলের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ই পাসপোর্ট আবেদন করার পর অনেক অসাধু কর্মকর্তা আবেদন পত্র পেন্ডিং রাখে। তাই পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা জানার জন্য আবেদন পত্রের স্ট্যাটাস চেক করতে হবে।
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক
বর্তমানে অফলাইনে মেসেজের মাধ্যমে পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করা যায়। মোবাইলের মাধ্যমে পাসপোর্ট চেক করার জন্য প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে যেতে হবে।
অতঃপর মেসেজ অপশনে বড় হাতের অক্ষরে START EPP লিখে স্পেস দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন আইডি লিখে 16445 নাম্বারে মেসেজ পাঠালে পাসপোর্ট এর তথ্য রিপ্লাই মেসেজে জানিয়ে দেওয়া হয়।
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার নিয়ম
অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট চেক করার জন্য প্রথমে একটি স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে গুগল ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করে সার্চ অপশনে https://epassport.gov.bd/লিখে সার্চ করতে হবে।
অতঃপর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি ওপেন হলে মেনু থেকে চেক স্ট্যাটাস (Check status) অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি অথবা অ্যাপ্লিকেশন আইডি বসাতে হবে।
আইডি বসানোর পর DD/MM/YYYY ফরমেটে জন্ম তারিখ বসিয়ে I am a human অপশনে টিক চিহ্ন তুলে চেক (Check) অপশনে ক্লিক করলে পাসপোর্ট এর বর্তমান স্ট্যাটাস প্রদর্শিত হবে।
ই পাসপোর্ট ডেলিভারি চেক
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://epassport.gov.bd/ থেকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি এবং জন্ম তারিখের সাহায্যে পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করার মাধ্যমে পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত কিনা তা জানা যায়।
পাসপোর্ট এর স্ট্যাটাসে Ready for Delivery লেখা থাকলে পাসপোর্টটি ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত এবং Delivered লিখার সাহায্যে পাসপোর্টটি ডেলিভারি করা হয়েছে বোঝানো হয়।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করা যায়। অনলাইনে আবেদন করার জন্য প্রথমে গুগল ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করে সার্চ অপশনে https://www.epassport.gov.bd/ লিখে সার্চ করতে হবে।
অতঃপর পাসপোর্ট অফিসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ওপেন হলে আবেদন ফরম পূরণ করে আবেদন ফি পরিশোধ করার মাধ্যমে এই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম
ভিসা অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আঞ্চলিক অফিস এবং থানা নির্বাচন করে একটি সচল ই মেইল আইডি ভেরিফিকেশন করতে হবে।
ইমেইল আইডি ভেরিফিকেশন করে ব্যক্তিগত তথ্য ও ঠিকানা সহ সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট তৈরির খরচের সাথে মোট ১৫% ভ্যাট যুক্ত করা হয়। পাসপোর্ট তৈরি করার খরচ পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা এবং মেয়াদের উপর নির্ভর করে কম বেশি হয়ে থাকে। যেমন-
৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে-
- সাধারণ (২১ কর্মদিবস) ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা।
- জরুরি (১০ কর্মদিবস) ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।
- অতীব জরুরি (২ কর্মদিবস) ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে-
- সাধারণ ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।
- জরুরি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা।
- অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার ৭৫ টাকা।
৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে-
- সাধারণ ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
- জরুরি ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা।
- অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে-
- সাধারণ ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা।
- জরুরি ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
- অতীব জরুরি ফি ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।
শেষ কথা
বর্তমানে ৬৫ বছরের অধিক বয়সী ব্যক্তি ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট তৈরি করতে পারেনা। এছাড়া পাসপোর্ট চেক করার ক্ষেত্রে অবশ্যই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করতে হবে। পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে ধন্যবাদ।