মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসা ২০২৪

মন্টিনিগ্রোতে সীমিত কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে বেশ কিছু কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ,কম জীবনযাত্রার ব্যয় এবং সাধারণ জীবন যাপনের জন্য মন্টিনিগ্রো দেশটি কাজের জন্য অনেকটা উপযুক্ত।

মন্টিনিগ্রো যেতে বাংলাদেশের অনেক নাগরিকের আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। কারণ এটি ইউরোপের দেশ না হলেও মোটা অংকের বেতন এই দেশ থেকে পাওয়া যায়। এমনকি এদেশের সকল কাজের ভিসায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

মন্টিনিগ্রোতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায়। তবে মন্টিনিগ্রোতে বেশিরভাগ কাজের সুযোগ পাওয়া যায় পর্যটন শিল্পে, হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য পরিষেবা খাতে।

তবে মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসা মন্টিনিগ্রিয়ান কোম্পানির কাছ থেকে জব অফার থাকতে হবে। না হলে কোনভাবেই বাংলাদেশ থেকে মনটিনিগ্রো যেতে পারবেন না।

মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসা

অনেক বাংলাদেশী নাগরিক মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসা অনুসন্ধান করে থাকেন। মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসা পেতে অবশ্যই ওই দেশের কোম্পানির জব অফার লেটার থাকতে হবে।

তবে এ জব অফার লেটার চাইলে কোন এজেন্সি বা দেওয়ালে সাহায্য নিয়ে সংগ্রহ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে মন্টিনিগ্রো সকল কাজের ভিসার খরচ তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হবে।

বর্তমানে দেশটিতে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় আইন প্রণীত হয়েছে। তাই কাজের ভিসা যে কোন ভিসা তৈরি করতে অবশ্যই বেশ কিছু নিয়ম-নীতি মানতে হবে এবং জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে।

আর মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসার ন্যূনতম বেতন ৪০০ থেকে ৫০০ ইউরো। যা বাংলাদেশী টাকায় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। এবং সর্বোচ্চ বেতন প্রদান করা হয় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

মন্টিনিগ্রো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪

মন্টিনিগ্রো একটি ছোট্ট বালকান দেশ হলেও এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পর্যটন শিল্পের কারণে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এদেশে পর্যটন শিল্পে, হোটেল, রেস্টুরেন্ট কাজের বেশিরভাগের চাকরির অফার পাওয়া যায়।

এমনকি এই সকল ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় তুলনামূলকভাবে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো অনেক বেশি বেতন পাওয়া যায়। যার জন্য অনেক বাংলাদেশী নাগরিকেরা মন্টিনিগ্রো যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন।

মন্টিনিগ্রো ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে অবশ্যই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তবে এই ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া বেশ জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। এদেশের ভিসা পেতে নূন্যতম ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে।

আবেদনের প্রথম পূর্বশর্ত বাধ্যতামূলক ভাবে মন্টিনিগ্রিয়ান কোম্পানির কাছ থেকে একটি বৈধ জব অফার থাকা। এছাড়াও ভালো বেতন পেতে অবশ্যই ওই সকল কাজের প্রতি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসা আবেদন

মন্টিনিগ্রো ওয়ার্ক পারমিট এবং সকল কাজের ভিসার জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া অনেক জটিল। তবে কারো সাহায্য নিয়ে এই আবেদন প্রক্রিয়া অনেকটা সহজ হতে পারে।

যেমন মন্টিনিগ্রো থেকে কোন কোম্পানি কর্তৃক জব অফ থাকলে ভিসা পাওয়া একদম সহজ। অর্থাৎ সবার পূর্বে মন্টিনিগ্রো কাজের চুক্তিপত্র সংগ্রহ করুন।

আবেদনের সময় ন্যূনতম ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট ব্যবহার করুন।পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, আর্থিক সঙ্গতির প্রমাণ, স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট সহ আপনার জীবন বৃত্তান্ত জমা দিন। অর্থাৎ মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসা পেতে আবেদনের মূল শর্ত হচ্ছে চাকরির অফার লেটার থাকা।

মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

এদেশের কাজের ভিসার বিভিন্ন ক্যাটাগরির রয়েছে। আর ক্যাটাগরি অনুযায়ী কত টাকা খরচ হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে। তবে মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসায় যেতে নূন্যতম ০৪ লক্ষ টাকা। যেটা সরকারিভাবে খরচ হয়ে থাকে।

আর বেসরকারিভাবে সর্বোচ্চ খরচ হয় ৮ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তবে তবে স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসায় মন্টিনিগ্রো যেতে খরচ অনেক কম লাগে।

মন্টিনিগ্রোতে কিভাবে কাজের ভিসা পাওয়া যায়?

প্রথমত এ দেশের বিভিন্ন কাজের ভিসার অনুসন্ধান করতে হবে। তারপর মন্টিনিগ্রোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসার জন্য আবেদন অনুরোধ জমা দিতে হবে। তবে অবশ্যই মন্টিনিগ্রোর কাজের ভিসা পেতে হলে জব অফার লেটার থাকতে হবে।

এদেশের কাজের ভিসা খুবই কম পাওয়া যায়। তাই কোন এজেন্সি বা দালালরা বেশি বেতনের লোভ দেখিয়ে মন্টিনিগ্রোর ভিসার কথা বললে তা সাবধানতার সাথে বিস্তারিত সঠিক তথ্য জানুন। এবং প্রতারণা থেকে সাবধান থাকুন। ধন্যবাদ

লেখালেখি করতে ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে লেখালেখি করি। আমাদের এই সাইটে ভিসা ও পাসপোর্ট সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে থাকি।

Leave a Comment