মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক

মালয়েশিয়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। মালয়েশিয়া অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত হওয়ায় অন্যান্য দেশের তুলনায় অধিক টাকা ইনকাম করা যায়।

বর্তমানে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা নিয়ে গেলে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়।

যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ মালয়েশিয়া কলিং ভিসার সাহায্যে গিয়ে থাকে। ভিসা তৈরীর ক্ষেত্রে অধিকাংশ বাংলাদেশী দালাল বা এজেন্সির শরণাপন্ন হয়।

কিছু অসাধু দালাল বা এজেন্সি মানুষের সরলতা এবং বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে নকল ভিসা তৈরি করে দেয়। বর্তমানে অনলাইনে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করা যায়।

মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক

অনলাইনের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করার জন্য প্রথমে একটি স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে গুগল ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করতে হবে।

অতঃপর সার্চ অপশনে https://eservices.imi.gov.my/ সার্চ করতে হবে। সার্চ করলে সবার উপরে মালয়েশিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চলে আসবে। অতঃপর Application Number এর ঘরে এপ্লিকেশন নাম্বার বসাতে হবে।

অতঃপর Company Registration No এবং Employer Identification Card No নির্ধারিত ঘরে বসিয়ে Carian লেখায় ক্লিক করলে মালয়েশিয়ার ভিসার সকল তথ্য পাওয়া যাবে।

অতঃপর আপনার নাম এবং জন্ম তারিখ সহ সকল ইনফরমেশন সঠিক থাকলে বুঝতে পারবেন ভিসাটি আসল। ভিসা নকল হলে কোন তথ্য পাওয়া যাবে না।

অ্যাপস দিয়ে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম

অ্যাপস এর সাহায্যে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করার জন্য প্রথমে একটি স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে গুগল প্লে স্টোর ওপেন করতে হবে।

অতঃপর প্লে স্টোরের সার্চ অপশনে Malaysia Visa Check লিখে সার্চ করতে হবে। অতঃপর সবার উপরের অ্যাপস টি ইন্সটল করতে হবে।

অ্যাপস টি ইন্সটল হয়ে গেলে ওপেন করে পাসপোর্ট নাম্বার এবং জন্ম তারিখ প্রদান করে Check Status বাটনে ক্লিক করলে ভিসার সকল তথ্য প্রদর্শিত হবে।

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা তৈরির জন্য প্রথমে আবেদন করতে হবে। মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন করার জন্য প্রথমে মালয়েশিয়া ভিসা অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।

অতঃপর ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে তা যথাযথ তথ্য দিয়ে পূরণ করে আবেদন ফি প্রদানের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

এছাড়া মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে এজেন্সির কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা পেতে কি কি লাগে

মালয়েশিয়া কলিং ভিসার চাহিদা পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় ভিসা পাওয়া তুলনামূলক কঠিন। এজেন্সি অনুযায়ী মালয়েশিয়া কলিং ভিসা তৈরির কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে।

  • নূন্যতম ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র এবং অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
  • ২ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  • ভিসা এপ্লিকেশন ফরম ও ট্রেড লাইসেন্স।
  • মালয়েশিয়ার যে কোন কোম্পানির অফার লেটার।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ও মেডিকেল রিপোর্ট ইত্যাদি।

ভিসা নাম্বার অথবা পাসপোর্ট নাম্বার এবং জন্ম তারিখের মাধ্যমে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করা যায়। বর্তমানে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা তৈরিতে অনেক বেশি দুর্নীতি হয়ে থাকে। তাই মালয়েশিয়া তৈরির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। ধন্যবাদ।

লেখালেখি করতে ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে লেখালেখি করি। আমাদের এই সাইটে ভিসা ও পাসপোর্ট সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে থাকি।

Leave a Comment