কুয়েতের অর্থনীতি মূলত তেল উৎপাদন ও রপ্তানি এর উপর নির্ভরশীল। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কুয়েতের অর্থনীতি তেলের দামের ওঠানামার সাথে সরাসরি যুক্ত। কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র।
দক্ষিণে সৌদি আরব ও উত্তরে ইরাক বেষ্টিত। কুয়েতের রাজধানীর নাম কুয়েত শহর। বাংলাদেশের থেকে কুয়েত অনেক উন্নত একটি রাষ্ট্র। এই দেশ বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়োগ দিয়ে থাকেন। কাজের ভিসা সহ বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি ভিসা।
কুয়েতের অভ্যন্তরীণ কোম্পানিগুলোতে কর্মসংস্থানের থেকে কর্মীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। যা বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়া অনেকটা সহজ এবং সুযোগ রয়েছে। তবে কুয়েতের কোম্পানি ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিল এবং বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের কোম্পানি ভিসা পাওয়া অনেকটা কঠিন একটি ব্যাপার। কুয়েতের অভ্যন্তরীণ কোম্পানিগুলোতে চাকরির জন্য আবেদন করা। কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা, প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করা সহ বেশ কিছু প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়।
বাংলাদেশী নাগরিকদের কুয়েতের কোম্পানির ভিসায় যাওয়া অনেকটা ভাগের একটি ব্যাপার। কারণ কুয়েতের কোম্পানি ভিসায় অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
সাধারণত কুয়েতের কোম্পানি ভিসায় ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ড্রাইভিং, হেভি মেশিন অপারেটর সহ বিভিন্ন ধরনের ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার হিসেবে কাজ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এমনকি এই সকল কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত কাজের বেতন গুলোও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা দাম কত ২০২৪
কুয়েতের কোম্পানির ভিসা পেতে বিভিন্ন এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন। তবে বেসরকারিভাবে কোম্পানি ভিসার দাম ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা।
তবে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সরকারিভাবে কোম্পানি ভিসার আবেদন করা সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ সরকারি ভাবে কোম্পানির ভিসার দাম নূন্যতম ০৩ লক্ষ থেকে ০৫ লক্ষ টাকা।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
কুয়েতের কোম্পানি ভিসার কাজের ধরন অনুযায়ী বেতন নির্ধারিত হয়। এমনকি ব্যক্তির যোগ্যতা এবং কোম্পানি অনুযায়ী বেতন এবং সুবিধাও পরিবর্তিত হয়।
তবে কুয়েতের কোম্পানির ভিসার ন্যূনতম বেতন ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। এবং ব্যক্তির দক্ষতা এবং কাজের ধরন বেঁধে সর্বোচ্চ বেতন ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
কুয়েতের কোম্পানির ভিসা পেতে চাইলে অবশ্যই নিকটস্থ কুয়েতের এম্বাসিতে যেতে হবে। তারপর আপনাকে একটি ফরম দেয়া হবে। আবেদন ফরমটি এখান থেকে সংগ্রহ করুন। সেই ফরমে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে বসাতে হবে।
অতঃপর সেই ফরম প্রিন্ট আউট করে নিজের কাছে রাখুন। অতঃপর নিকটস্থ কুয়েতের এম্বাসিতে গিয়ে ফরমসহ পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় তথ্য আবেদনের উদ্দেশ্যে জমা দিতে হবে।
তবে এই আবেদনটি সরকারি এবং বেসরকারি দুই ভাবেই করতে পারবেন। সরকারিভাবে খরচ কম এবং বেসরকারিভাবে খরচ বেশি।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা যেতে খরচ কত
যেহেতু কুয়েতের কোম্পানি ভিসায় বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তাই কাজের ক্যাটেগরি অনুযায়ী ভিসার খরচ নির্ধারিত হয়।
এছাড়াও ভিসা আবেদনের সময়ের পরিবর্তন, সরকারি ও বেসরকারি ভিসার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের কোম্পানি ভিসায় যেতে খরচের তারতম্য হয়। যেমনঃ
- ড্রাইভিং ভিসায় যেতে খরচ হয় ৫-৭ লক্ষ টাকা।
- ইলেকট্রিশিয়ান ভিসায় ৬-৮ লক্ষ টাকা।
- হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ভিসায় ৫-৭ লক্ষ টাকা।
- প্লাম্বার ভিসায় যেতে খরচ হয় ৬-৭ লক্ষ টাকা।
- হেভি মেশিন অপারেটর ৫-৮ লক্ষ টাকা।
- ক্লিনার ভিসায় ৪-৬ লক্ষ টাকা।
- ফ্যাক্টরি ভিসা ৩-৬ লক্ষ টাকা।
- মেকানিক ৪-৭ লক্ষ টাকা।
- হাউসকিপার ৩-৬ লক্ষ টাকা।
- সিকিউরিটি গার্ডের ৫-৭ লক্ষ টাকা।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের কোম্পানির ভিসা পাওয়াটা একটু জটিল। তাই বলে কোন দালাল বা এজেন্সি বেশি টাকা চাইলে তাদের থেকে দূরে থাকুন। পরিচিত কোন এজেন্সির সাহায্য নিয়ে ভিসার সঠিক দাম জেনে ভিসা তৈরি করুন। ধন্যবাদ
আমি বুবাই যাইতে ইচ্ছুক আইন কানুন মেলে চলার মতন মানসিকতা আছে আমার ভিতর আমি ওমান ছিলাম দীর্ঘকাল পর্যন্ত