ইতালি পশ্চিম ইউরোপের একটি সংযুক্ত প্রজাতান্ত্রিক সংসদীয় প্রাচীন রাষ্ট্র। এই দেশটি ইতালি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যেতে হলে ভিসার খরচ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
প্রথমত ভিসার ধরন, ভিসার মেয়াদ, সার্ভিস চার্জ এবং ইতালির মুদ্রার বিনিময় হার। তবে সব মিলিয়ে বর্তমানে ইতালি ভিসা খরচ বা ইতালি যেতে ন্যূনতম ০৭ লক্ষ থেকে ০৮ লক্ষ টাকা। এবং সর্বোচ্চ ইতালি ভিসা খরচ হয়ে থাকে ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।
তবে অপরিচিত দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে ইতালি ভিসা তৈরি করতে গেলে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদী ইতালির যে কোন ধরনের ভিসা খরচ হিসেবে আনুমানিক ৮ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হতে পারে।
ইতালি ভিসা খরচ 2024
বর্তমান ২০২৪ সালে ইতালিতে দুই ভাবে যেতে পারবেন। প্রথমত সমসাময়িক (শর্ট টার্ম ভিসা) এবং দীর্ঘ সাময়িক (লং টার্ম ভিসা)। তবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ নাগরিক দীর্ঘমেয়াদী অর্থাৎ লং টার্ম ভিসা ভিসা তৈরি করে থাকেন।
অর্থাৎ পরবর্তীতে ভিসা অনুযায়ী ইতালি ভিসা খরচ নির্ভর করে। যেমন বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ভিসা নিয়ে ইতালিতে যাওয়া যায়। অতএব সেই ইতালির ভিসা খরচ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা আনুমানিক ০৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
- ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নূন্যতম ০৮ থেকে ১০ লক্ষ এবং সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা।
- ইতালি কৃষি ভিসা ০৭ থেকে ০৯ লক্ষ টাকা
- ইতালি ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ ন্যূনতম ৩ লক্ষ টাকা এবং সর্বোচ্চ ০৫ লক্ষ টাকা।
- ইতালি স্পন্সর ভিসার খরচ আনুমানিক ৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
- ইতালি কনস্ট্রাকশন ভিসার খরচ ১০ লক্ষ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা।
ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজারো নাগরিক, কৃষি ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টুরিস্ট ভিসায় ইতালি পৌঁছে থাকেন। তবে বর্তমানে ইতালি যেতে কত টাকা খরচ হবে তার সম্পূর্ণ ভিসার ধরন এবং ব্যক্তি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
তবে সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন ভিসা নিয়ে ইতালি যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে যাওয়ার মধ্যে ভিসার খরচের অনেকটা পার্থক্য রয়েছে। যেমন সরকারিভাবে ইতালিতে ০৫ থেকে ০৬ লক্ষ টাকায় যাওয়া যায়। আর বেসরকারিভাবে ৮ লক্ষ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪
উচ্চশিক্ষার জন্য একজন বাংলাদেশী স্টুডেন্ট স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের জন্য ইতালিতে যেতে পারেন। তবে সাধারণত ইতালির স্টুডেন্ট ভিসার সর্বোচ্চ মেয়াদ ৫ বছর হয়ে থাকে।
এই খরচ আনুমানিক ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে। তবে সরকারিভাবে স্কলারশিপ নিয়ে গেলে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়ে থাকে।
ইতালি টুরিস্ট ভিসা খরচ ২০২৪
শর্ট টার্ম ভিসা গুলো সাধারণ টুরিস্ট ভিসা হয়ে থাকে। তুলনামূলকভাবে ইতালির টুরিস্ট ভিসার খরচ অনেকটা কম। সময় এবং গন্তব্যস্থান অনুযায়ী ইতালি টুরিস্ট ভিসার খরচ নূন্যতম ০৩ লক্ষ থেকে ০৪ লক্ষ টাকা এবং সর্বোচ্চ ০৫ লক্ষ থেকে ০৬ লক্ষ টাকা।
ইতালি ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে
ভিসার ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের পার্থক্য হয়ে থাকে। তবে ইতালির ভিসা আবেদন করতে যেসব কাগজপত্র অবশ্যই লাগবে তা হচ্ছেঃ
- পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- ভিসা আবেদনপত্র
- আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ
- স্বাস্থ্য বিমা
- ভ্রমণের উদ্দেশ্যের প্রমাণ
- আপনার কাজের প্রমাণ (যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হয়)
- IELTS স্কোর এবং সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ (যদি স্টুডেন্ট ভিসা হয়)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় 2024
বৈধ এবং অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়া যায়। তবে সবসময় চেষ্টা করবেন বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার। প্রথমত আপনার পাসপোর্ট দিয়ে নির্ধারিত আবেদনের সময়ে ইতালির আবেদন করুন। আবেদন সম্পন্ন হলে বিমানের টিকেট ক্রয় করে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে পারেন।
অনেকেই ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ করে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইত্যাদি পৌঁছে থাকেন। যা জীবনের জন্য অনেকটাই হুমকিস্বরূপ। চেষ্টা করবেন বৈধ ভাবে ইতালি যাওয়ার জন্য। এবং অপরিচিত দালালের সাহায্যে ভিসা তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন। ধন্যবাদ
আমি রংরে কাজ করেত চাই তাই
আপনি বিশ্বস্ত কোন এজেন্সিতে যোগাযোগ করুন।