ফ্রান্স ইউরোপের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। ফ্রান্স অর্থনৈতিক ভাবে অনেক উন্নত। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফ্রান্স শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে।
বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাটাগরীর ভিসার সাহায্যে ফ্রান্স যাওয়া যায়। ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগে তা মূলত ভিসার ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে কম বেশি হয়ে থাকে। যেমন-
বর্তমানে স্টুডেন্ট ভিসায় ফ্রান্স যেতে নূন্যতম প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা এবং টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে।
ইউরোপের রাষ্ট্র ফ্রান্স অধিক টাকা ইনকাম করতে অবশ্যই চাহিদা সম্পন্ন কাজে দক্ষতা অর্জন করে আসতে হবে। তবে ফ্রান্স দক্ষতা ছাড়াও কাজ পাওয়া যায়।
ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগে
ফ্রান্স যাওয়ার খরচ ভিসার ধরন, বিমানের ক্যাটাগরি ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সংগ্রহ করার খরচের উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়ে থাকে।
বর্তমানে ফ্রান্স যেতে বিমান ভাড়া বাবদ ন্যূনতম প্রায় ৫৫৮০০ টাকা থেকে ৪ লাখ ৮৫,৪৫৩ টাকা এবং আনুষঙ্গিক কাগজপত্র তৈরি করতে ন্যূনতম প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়।
ভিসা, বিমান ভাড়া ও আনুষাঙ্গিক সকল খরচ মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স যেতে ন্যূনতম প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
ফ্রান্স ভিসার দাম কত টাকা
সরকারি এবং বেসরকারি দুই ভাবেই ফ্রান্স ভিসা তৈরি করা যায়। তবে সরকারি ভাবে ফ্রান্স ভিসার চাহিদা তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
বর্তমানে সরকারি ভাবে ফ্রান্স ভিসা তৈরি করতে ন্যূনতম প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা এবং বেসরকারি ভাবে নূন্যতম প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
তবে এজেন্সির উপর ভিত্তি করে ফ্রান্স ভিসার দাম সর্বনিম্ন প্রায় ৯ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ফ্রান্স ভিসা আবেদনের নিয়ম
ফ্রান্স ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া পূর্বের তুলনায় সহজতর করা হয়েছে। অনলাইন এবং অফলাইন দুই ভাবে ফ্রান্স ভিসা আবেদন করা যায়।
অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ফ্রান্স ভিসা অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে আবেদন ফি প্রদানের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
অপর দিকে অফলাইনে ফ্রান্স ভিসা অফিসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে কর্মরত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে আবেদন ফ্রম সংগ্রহ করতে হবে। অতঃপর সকল তথ্য এবং কাগজপত্র প্রদানের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
ফ্রান্স বেতন কত টাকা
ফ্রান্স কাজের বেতন কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে কম বেশি হয়ে থাকে। যেমন- ফ্রান্স কোম্পানিতে ন্যূনতম বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৬০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
অপর দিকে ফ্রান্স ড্রাইভার, ক্লিনার, ওয়ার্কার এবং নির্মাণ শ্রমিকের বেতন ন্যূনতম প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে ওভারটাইম করলে ফ্রান্স একজন শ্রমিক প্রতি মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।
ফ্রান্স যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী ফ্রান্স যাওয়ার কাগজ পত্র পরিবর্তিত হয়ে থাকে। সকল কাগজ পত্র সঠিক ভাবে প্রদান করলে নূন্যতম প্রায় ১২ দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ভিসা তৈরি করা যায়।
- এক বছর মেয়াদী ডিজিটাল পাসপোর্ট
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
- আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধনের কপি
- আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা
- ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট
- ফ্রান্স ভিসা আবেদন ফরম
- স্কিল সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
শেষ কথা
ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগে তা এজেন্সি অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে। পূর্বের তুলনায় বর্তমানে ফ্রান্স ভিসার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্রান্স ভিসা তৈরির ক্ষেত্রে অসাধু দালাল এবং এজেন্সি থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া পরিচিত এজেন্সি থেকে ভিসা তৈরির সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা উচিত।