দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৪

দুবাইয়ের বিলাসবহুল জীবন যাত্রা, আধুনিক স্থাপনা, বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফা ও কৃত্রিম নির্মিত দ্বীপ এবং বিলাসবহুল হোটেলগুলোর জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। দুবাই পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে অবস্থিত।

এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে জনবহুল একটি শহর। এবং এটি দুবাই আমিরাতের রাজধানী। এছাড়াও দুবাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। যেখানে প্রতিবছর দুবাই সরকার বিভিন্ন খাতে হাজারো শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

যেখানে বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে হাজারো বাংলাদেশী নাগরিক বর্তমানে দুবাই পৌঁছে যাচ্ছেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি ভিসায় দুবাই যাওয়া যায়।

দুবাই কোম্পানি ভিসা

দুবাইয়ে কোম্পানি ভিসার চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি। বিভিন্ন সেক্টরে এবং বিভিন্ন কোম্পানির আওতায় দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীর কাজের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। তবে এদেশের অর্থনীতি পর্যটন এবং তেল ও গ্যাসের উপর অনেকটা নির্ভরশীল।

তাই সরকারি ও বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন কোম্পানির আওতাধীন বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য দুবাই কোম্পানির ভিসার নিয়োগ দেওয়া হয়।

দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতনও অনেক বেশি দেওয়া হয়। তবে দুবাই কোম্পানির ভিসার ন্যূনতম বেতন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা হয়। এবং অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এ বেতন সর্বোচ্চ লক্ষ টাকা হয়।

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত

উন্নত জীবন যাপন ও ভাগ্য পরিবর্তনে বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক দুবাইয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ অনুসন্ধান করে থাকেন। তাই বর্তমানে দুবাই কোম্পানি ভিসায় ভালো কাজ এবং ভালো বেতন পাওয়া যায়।

দুবাইয়ের বিভিন্ন কোম্পানি ভিসায় একজন দক্ষ কর্মী বেতন ৯০০০০ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এবং অদক্ষ শ্রমিকের বেতন নূন্যতম ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।

তবে কাজের ধরন বেঁধে দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন ৬০,০০০ থেকে ৯০,০০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হয়।

দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত

কাজের ধরন বেধে এবং ব্যক্তির অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয়। যেমন প্রাথমিক অবস্থায় শুধুমাত্র কোম্পানি ভিসায় একজন অদক্ষ কর্মীর বেতন ন্যূনতম ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা।

ঠিক একই কাজের প্রাথমিক অবস্থায় একজন দক্ষ কর্মীর বেতন নির্ধারণ করা হয় ন্যূনতম ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা। তবে অন্যান্য কাজের বেতন নূন্যতম ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা হতে পারে।

দুবাই কোন কাজের বেতন কত

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থেকে শুরু করে দুবাইয়ের কোম্পানি ভিসায় বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। আর এই কাজ অনুযায়ী বেতন কত টাকা তা নির্ধারণ করে বলা মুশকিল।

কারণ বেতন কত টাকা হবে তা নির্ভর করে একজন কর্মীর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর। তবে কোন কাজের বেতন কত টাকা প্রদান করা হয় তা আনুমানিক একটি ধারণা উল্লেখ করা হলোঃ

  • সকল ধরনের কোম্পানি কাজের বেতন ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
  • ইলেকট্রিশিয়ানের সর্বনিম্ন বেতন ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।
  • ক্লিনারের সর্বনিম্ন বেতন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
  • ওয়েটারের সর্বনিম্ন বেতন ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
  • মেকানিকের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।
  • ডেলিভারি ম্যানের সর্বনিম্ন বেতন ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
  • হেলপারের সর্বনিম্ন বেতন ৪০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা।
  • ফ্যাক্টরির কাজের বেতন ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
  • ড্রাইভিং এর বেতন ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।
  • প্লাম্বার কাজের বেতন ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা।

দুবাই যেতে কত টাকা লাগে

দুবাই যেতে কত টাকা লাগবে তা নির্ভর করে ভিসার উপর। যেমন টুরিস্ট ভিসায় যেতে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা লাগে।

বিভিন্ন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগে। এবং কোম্পানি ভিসায় যেতে ৬ লক্ষ্য থেকে ৭ লক্ষ টাকা লাগে।

তবে সরকারি ভাবে এবং বেসরকারিভাবে যাওয়ার খরচের অনেকটা পার্থক্য রয়েছে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সরকারি ভাবে যেতে ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ হয়। এবং বেসরকারিভাবে ৭-৮ লাখ টাকা।

শেষ কথা

দুবাই ভিসা তৈরি করার পূর্বে কোন কাজের বেতন কত তা বিস্তারিত জেনে নিন। বিশেষ করে যারা কোম্পানি ভিসা তৈরি করতে চাচ্ছেন। তারা অবশ্যই দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত তা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন। না হলে পরবর্তীতে বেতন নিয়ে প্রতারিত হতে পারে। ধন্যবাদ

লেখালেখি করতে ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে লেখালেখি করি। আমাদের এই সাইটে ভিসা ও পাসপোর্ট সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে থাকি।

Leave a Comment