কানাডা ১০ টি প্রদেশ ও ৩ টি অঞ্চল নিয়ে গঠিত উত্তর আমেরিকার একটি সমৃদ্ধশীল রাষ্ট্র। কানাডায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে।
প্রতিনিয়ত কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে অসংখ্য বাংলাদেশি কানাডা পাড়ি জমাচ্ছে। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত তা কানাডা প্রদেশ ও অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়ে থাকে।
প্রতিনিয়ত কানাডা বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের চাকরির সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে। সার্কুলার অনুযায়ী চাকরির জন্য আবেদন করলে সহজে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার তথ্য সহ চাকরির সকল সার্কুলারের যাবতীয় তথ্য কানাডা কোম্পানি ও সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যায়।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত
বর্তমানে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার চাহিদা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভিসা তৈরিতে পূর্বের তুলনায় ন্যূনতম প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি খরচ করতে হচ্ছে।
সরকারি এবং বেসরকারি দুই ভাবে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করা যায়। বর্তমানে সরকারিভাবে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ ন্যূনতম প্রায় ৬ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা হয়ে থাকে।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
সরকারি ভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে। বেসরকারি ভাবেও কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করা যায়।
এক্ষেত্রে কানাডা ও বাংলাদেশ সরকার দ্বারা অনুমোদিত ভিসা অফিসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে সকল তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আবেদন ফরম জমা দিতে হবে।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত টাকা
বেসরকারি ভাবে অর্থাৎ এজেন্সির সাহায্যে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে ন্যূনতম প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
তবে এজেন্সি অনুযায়ী কানাডা ওয়ার্ক ভিসা তৈরি করতে ন্যূনতম বাজেট সর্বনিম্ন প্রায় ১০ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১২ লাখ টাকা রাখতে হবে।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বেতন কত
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট পেলে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী কানাডা বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যেমন-
বর্তমানে কানাডা সাধারণ কাজের জন্য নূন্যতম বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এছাড়া কানাডা যোগ্যতা সম্পন্ন কাজের ন্যূনতম মাসিক বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১ লাখ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরির খরচ ছাড়াও বিমান ভাড়া ও আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র তৈরি করতে ন্যূনতম প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে।
বর্তমানে কানাডা ভিসা তৈরীর খরচ ও বিমান ভাড়া সহ আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র তৈরীর সকল খরচ মিলিয়ে কানাডা যেতে ন্যূনতম প্রায় ১৫ লাখ টাকা থেকে ১৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে কি কি লাগে
কানাডায় অবস্থিত ব্যক্তি সুপারিশ করলে সহজে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরির কাগজপত্র এজেন্সি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
- ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন ফরম।
- কাজের অভিজ্ঞতা প্রমাণপত্র ( সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
- মেডিকেলে রিপোর্ট ও চাকরির অফার লেটার।
- ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট ( সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
- পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
শেষ কথা
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত তা কোম্পানি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। বর্তমানে অনেক এজেন্সি ও অসাদু দালাল সিন্ডিকেট করে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ বৃদ্ধি করছে। তাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরির ক্ষেত্রে এ সকল অসাধু দালাল ও এজেন্সি থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ধন্যবাদ।
Apnader shathe Kono bhabe contact kora jabe ? Ami nije apply Korte chacchi. Ekhon consultancy firm ra bole 6 lac e total abong Tara tader lawyer dieh form fill up kore abong bollo medical test nai ar total apply er 13500 ar baad baki pore