কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমানে কানাডা বিপুল পরিমাণ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ সকল নিয়োগ অনুযায়ী কানাডা ভিসা আবেদন করলে সহজে ভিসা পাওয়া যায়।

কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি জানা থাকলে কাজ নির্বাচন ও ভিসা তৈরীর ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়।

সকলেই কানাডা যেতে পারে না। কানাডা যেতে বিভিন্ন ধরনের শর্ত পূরণ করতে হয়। মূলত কাজ অনুযায়ী এ সকল শর্ত প্রদান করা হয়ে থাকে।

মূলত অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং দক্ষতার প্রমাণ দিতে হয়। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা ছাড়াও কানাডায় কাজ করা যায়।

কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি

কানাডায় দক্ষ শ্রমিকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই কানাডা যাওয়ার আগে পছন্দ অনুযায়ী কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

চাহিদা সম্পন্ন কাজে কানাডা গেলে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। তবে কানাডা চাহিদা সম্পন্ন কাজ পেতে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।

  • রেজিস্টার্ড নার্স, সফটওয়্যার ডেভেলপার, প্রকল্প ব্যবস্থাপক।
  • ট্রাক ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার।
  • ডেলিভারি বয়, মেকানিক্যাল টেকনিশিয়ান, ফুড সার্ভিস ওয়ার্কার।
  • ফার্মাসিস্ট, হিসাবরক্ষক, মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ।
  • শেফ এবং কুক, গ্রাহক সেবা প্রতিনিধি, নির্মাণ ব্যবস্থাপক।

কানাডায় কোন কাজের বেতন বেশি

বর্তমানে কানাডায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজের সুযোগ রয়েছে। এ সকল কাজের ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যেমন-

কানাডায় একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন ন্যূনতম প্রায় ৬০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন প্রায় ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অপর দিকে কানাডায় একজন চাকরিজীবীর সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৯০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন প্রায় ২ লাখ টাকার কাছাকাছি হয়ে থাকে।

কানাডা ভিসার দাম কত

বর্তমানে কানাডা বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায়। কানাডা ভিসার ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে ভিসার খরচ নির্ধারণ হয়ে থাকে।

সরকারি এবং বেসরকারি দুইভাবেই কানাডা ভিসা তৈরি করা যায়। তবে বেসরকারি ভাবে ভিসা তৈরির খরচের তুলনায় কম খরচে সরকারি ভাবে ভিসা তৈরি করা যায়।

সরকারি ভাবে কানাড়া ভিসা তৈরি করতে ন্যূনতম প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা এবং বেসরকারিভাবে কানাডা তৈরি করতে ন্যূনতম প্রায় ৬ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

কানাডা ভিসা আবেদনের নিয়ম

পূর্বের তুলনায় বর্তমানে কানাডা ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।

অনলাইনের মাধ্যমে কানাডা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করা যায়। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া জটিল মনে হলে সরাসরি ভিসা অফিসে উপস্থিত হয়ে কানাডা ভিসা আবেদন সম্পন্ন করা যায়।

কানাডায় যেতে কত টাকা লাগে

কানাডা যেতে কয়েকটি ধাপে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। কানাডা যাওয়ার মোট খরচের প্রায় অধিকাংশ টাকা ভিসা তৈরিতে ব্যয় হয়ে থাকে।

এছাড়া বিমান ভাড়া এবং আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সর্বনিম্ন প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

অর্থাৎ কানাডা যেতে ভিসা, বিমান ভাড়া ও আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র তৈরির সকল খরচ মিলিয়ে ন্যূনতম প্রায় ৯ লাখ টাকা থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

কানাডা যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

বৈধ ভাবে কানাডা যেতে সবার আগে কানাডার বৈধ ভিসা থাকতে হবে। তৈরির একমাত্র প্রসেস অনলাইনে অথবা অফলাইনে মাধ্যমে আবেদন করা।

ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে তথ্যের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য আবেদন পত্রের সাথে ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়।

  • বৈধ পাসপোর্ট যার মেয়াদ সর্বনিন্ম ৬ মাস থাকতে হবে।
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র এর ফটো কপি।
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • বয়স নির্ণয়ের জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
  • করোনা ভাইরাসের টিকা কর্ড। ( সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)

বর্তমানে অবৈধ ভাবে কানাডা পৌঁছানো একেবারে অসম্ভব। তবে অনেক অসাধু দালাল ও এজেন্সি অবৈধ ভাবে কানাডা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। এ সকল অসাধু দালাল থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হতে হবে। ধন্যবাদ।

লেখালেখি করতে ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে লেখালেখি করি। আমাদের এই সাইটে ভিসা ও পাসপোর্ট সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে থাকি।

Leave a Comment