ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৪

ইউরোপ মহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র ফ্রান্স। এছাড়া পশ্চিমাদের গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় একটি রাষ্ট্র এটি।

প্রত্যেক বছর আমাদের দেশ থেকে অনেক মানুষ চাকরি করার উদ্দেশ্যে ফ্রান্সে যায়। অন্যান্য দেশের চেয়ে ফ্রান্সে ওয়ার্ড পারমিট ভিসা চাহিদা ও বেতন অনেক বেশি।

তবে চাকরির উদ্দেশ্যে ফ্রান্সে যাওয়ার আগে ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত, ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও ফ্রান্সে যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে ফ্রান্সে কাজের বেতন অনেক বেশি। ফ্রান্সে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ১ লাখ ৫০ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত।

আবার যে সকল শ্রমিকের কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের বেতন এর থেকেও বেশি। এছাড়াও যারা বেশি সময় ওভারটাইম করে তাদের ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ২ লাখ টাকা।

ফ্রান্সে কাজের ভিসা পাওয়া যেমন কঠিন ঠিক তেমনিভাবে একবার যদি ভিসা পেয়ে ফ্রান্সে অবস্থান করতে পারেন। তাহলে প্রত্যেক মাসে ন্যূনতম ১,৫০,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন- মালয়েশিয়া কাজের বেতন কত ২০২৪

ফ্রান্স কাজের ভিসা ২০২৪

ইউরোপের কোন দেশে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার একটু কঠিন। তবে একেবারেই তো সম্ভব না, এটা ভুল ধারণা। আমাদের দেশটাকে প্রতিদিন অনেক মানুষ চাকরি বা কাজের উদ্দেশ্যে ফ্রান্সে যাচ্ছে।

আপনিও ইচ্ছা করবেন কাজের ভিসা নিয়ে ফ্রান্সে পাড়ি জমাতে পারেন। তবে এজন্য ফ্রান্স কাজের ভিসার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগবে তা জানতে হবে।

ফ্রান্স কাজের ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে?

আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে ফ্রান্সে যেতে চান তাহলে নিম্নোক্ত কাগজপত্র গুলো ভিসার আবেদন করার সময় জমা দিতে হবে।

  • ১ বছর মেয়াদি বৈধ পাসপোর্ট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • করোনা ভ্যাকসিনের টিকা সনদ
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • বিগত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • IELTS সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে আপনি ৩ টি উপায়ে ফ্রান্সে যেতে পারবেন। সরকারিভাবে, বেসরকারিভাবে ও ফ্রান্সে অবস্থানরত লোকের রেফারেন্সে।

আপনি যদি সরকারিভাবে কাজের ভিসা নিয়ে ফ্রান্সে যেতে তাহলে সব মিলিয়ে খরচ পড়বে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।

আবার বেসরকারিভাবে ফ্রান্সে গেলে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি খরচ হবে। তবে বেসরকারিভাবে ফ্রান্সে না যাওয়াই ভালো। সব সময় সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ফ্রান্সে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

আর আপনার কোন নিকট আত্মীয় যদি ফ্রান্সে কর্মরত থাকে। তাহলে সেই ব্যক্তির রেফারেন্সেও আপনি ফ্রান্সে যেতে পারেন। এই মাধ্যমে ফ্রান্সে যেতে তুলনামূলকভাবে কম টাকা খরচ হয়।

তবে ফ্রান্স টুরিস্ট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসার খরচ অনেক কম। টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ফ্রান্সে গেলে সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ লাগবে। আর উচ্চশিক্ষার জন্য ফ্রান্সে যেতে ন্যূনতম ৩/৪ লাখ টাকা খরচ হবে।

আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়া কৃষি কাজের বেতন কত ২০২৪

ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রান্সে প্রায় সকল ধরনের কাজের চাহিদা বেশি। তবে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শ্রমিকের চাহিদা এদেশে সব সময় বেশি থাকে। ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা দেখে নিন।

  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • ড্রাইভার
  • হোটেল বা রেস্টুরেন্ট জব
  • ডেলিভারি ম্যান
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ
  • ক্লিনার

এছাড়া আইটি সেক্টর, চিকিৎসক, কৃষিকাজ ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট কাজের চাহিদাও অনেক বেশি।

শেষকথা

ভিসা চেক বিডি ওয়েবসাইটের এই পোস্টে ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত ও ফ্রান্স কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যদি আজকের পোস্ট সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

FAQ’s

ফ্রান্সের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

ফ্রান্সের ১ টাকা বাংলাদেশের প্রায় ১২৯ টাকা ১৩ পয়সা ।

ফ্রান্সে কাজের বেতন কত টাকা?

ফ্রান্সের একদিন চাকরিজীবী মাসিক নূন্যতম বেতন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি?

ফ্রান্সে হোটেল-রেস্টুরেন্টে চাকরি, ডেলিভারি ম্যান, ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, ক্লিনার ও নির্মাণ শ্রমিক কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

ফ্রান্স কাজের ভিসার মেয়াদ কত দিন?

ফ্রান্স কাজের ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর। তবে ৫ বছর পর ভিসার মেয়াদ আরো বাড়াতে পারবেন।

লেখালেখি করতে ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে লেখালেখি করি। আমাদের এই সাইটে ভিসা ও পাসপোর্ট সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে থাকি।

Leave a Comment