জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন বেশি

জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন বেশি, জার্মানিতে যেতে কত টাকা লাগবে ও বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের পোস্ট থেকে। 

জার্মানি বিশ্বের অন্যতম শিল্পোন্নত একটি দেশ। এছাড়াও অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বে জার্মানির অবস্থান চতুর্থ। পড়াশোনা বা চাকরি অধিকাংশ মানুষের আগ্রহ থাকে জার্মানি যাবার।

তবে জার্মানি যাওয়ার আগে অবশ্যই জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন বেশি তা জানতে হবে। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই। 

জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

জার্মানিতে প্রায় সকল সেক্টরে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বেশি। বিশেষ করে ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক্যাল, আইটি ডিপার্টমেন্ট, ফুড ডেলিভারি ম্যান, ড্রাইভিং, হোটেল-রেস্টুরেন্ট জব, শপিং মল, বিক্রয় কর্মী, ক্লিনার, নিরাপত্তা কর্মী ইত্যাদি কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। 

এখন আপনি যদি জার্মানিতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে উপরোক্ত যেকোনো একটি কাজে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। 

কারণ আপনি যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে একজন দক্ষ কর্মী হতে পারেন। তাহলে আপনি জার্মানিতে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। 

আরও পড়ুন- মালয়েশিয়া কাজের বেতন কত ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার উপায়

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ জার্মানি যাচ্ছে। আপনিও ইচ্ছা করলে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে পারবেন। তবে জার্মানি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। 

জার্মানি যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে বৈধভাবে যেতে হবে। অর্থাৎ, বৈধ ভিসা ছাড়া আপনি কখনোই জার্মানিতে যেতে পারবেন না। 

জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু রয়েছে। পড়াশোনা করার জন্য যারা যেতে চান তাদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। 

জার্মানিতে ভ্রমণ করতে চাইলে টুরিস্ট ভিসা ও যারা শ্রমিক হিসেবে জার্মানি যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। 

কাজের ভিসা নিয়ে জার্মানি যাওয়া অনেক কঠিন। তবে আপনার যোগ্যতা থাকলে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জার্মানি যেতে পারবেন। 

এছাড়াও জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। এজন্য অনার্স বা মাস্টার্স শেষ করার পর জার্মানি স্টাডি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

মজার বিষয় হলো, জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গেলে পার্ট টাইম চাকরি করার সুযোগ পাবেন। 

তবে জার্মানিতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় পারদর্শী হতে হবে ‌ 

জার্মানিতে যেতে কত টাকা লাগবে?

জার্মানিতে যেতে কত টাকা লাগে তা নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসা নিয়ে জার্মানি যাচ্ছেন। 

কাজের ভিসা নিয়ে জার্মানিতে যেতে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হবে। আবার স্টুডেন্ট ভিসায় জার্মানি যেতে ৫ লাখ টাকা লাগে। 

তবে জার্মানি স্টুডেন্ট স্কলারশিপ পেলে খরচ একটু কম হয়। এছাড়াও টুরিস্ট ভিসায় জার্মানি গেলে ৪ লাখ টাকা লাগে। 

আরও পড়ুন-দক্ষিণ কোরিয়া বেতন কত?

জার্মানিতে কাজের বেতন কত?

জার্মানিতে কাজের বেতন অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি। জার্মানিতে একজন কর্মীর মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। 

আবার স্টুডেন্ট ভিসায় পার্ট টাইম চাকরি করে মাসে নূন্যতম ১ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

এছাড়াও যাদের কাজের দক্ষতা বেশি ও বেশি সময় ওভারটাইম করে তাদের মাসিক আয় আরো বেশি। 

পরিশেষে 

আজকের এই পোস্টে জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন বেশি তা জানলাম। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

বর্তমানে জার্মানি ভিসা নিয়ে অনেক দালাল চক্র সাধারণ মানুষ প্রতারিত করছে। এজন্য আপনি যদি জার্মানি যেতে চান তাহলে সরাসরি জার্মান হাই কমিশনে যোগাযোগ করুন। 

FAQ’s 

জার্মানির ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা?

জার্মানির ১ টাকা সমান বাংলাদেশের ১১৮ প্রায় টাকা।

জার্মানিতে সর্বনিম্ন বেতন কত?

জার্মানিতে একজন শ্রমিকের মাসিক সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ২ লাখ টাকা। 

বাংলাদেশে জার্মানির ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

ভিসার জন্য জমাকৃত কাগজপত্র যদি সঠিক থাকে তাহলে জার্মানির ভিসা পেতে নূন্যতম ৪৫ থেকে ৬০ দিন সময় লাগে। 

জার্মানিতে পড়াশোনার খরচ কত?

জার্মানিতে পড়াশোনার খরচ মাসিক প্রায় ৬০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা। কিন্তু একজন স্টুডেন্ট চাইলে পার্ট টাইম জব করে মাসিক ১ লাখ টাকা আয় করতে পারবে।

লেখালেখি করতে ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে লেখালেখি করি। আমাদের এই সাইটে ভিসা ও পাসপোর্ট সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে থাকি।

1 thought on “জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন বেশি”

  1. আমি জার্মানীতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চাই।বর্তমানে আমি একটি পাওয়ারপ্লান্টে অপারেশন ইন্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছি। আমি কি যেতে পারবো আর যাওয়ার আগে কি আমাকে ভাষা শিখতে হবে? কিনবা মেকানিক্যাল পদে প্রশিক্ষন নিতে হবে? দয়াকরে বিস্তারিত বলবেন।

    Reply

Leave a Comment