কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ। বাংলাদেশে বেকারত্বের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশের শিক্ষার হার পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

যার ফলে বেকারদের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ শিক্ষিত বেকার রয়েছে। বেকারত্বের হার কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রতিনিধিত্ব বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

এছাড়া বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ফ্রি প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে বিভিন্ন ভিসার সাহায্যে উন্নত দেশে পাঠিয়ে বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।

বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে দেশ এবং ভিসা ও বিমানের ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার মানুষ টুরিস্ট, মেডিকেল, স্টাডি ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। দেশ এবং ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী কোন দেশে যাওয়ার খরচ নির্ধারিত হয়।

ভারত 

ভারত বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সব থেকে কম খরচে ভারত যাওয়া যায়। যেমন টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে যেতে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা লাগে।

সৌদি আরব 

বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরব গিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যেতে সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা লাগে।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া কাজের বেতন কত?

মালয়েশিয়া 

প্রতিদিনই প্রায় বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক মালয়েশিয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়। 

কাতার 

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্র কাতার। বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হতে কাতার সরকারিভাবে শ্রমিক আমদানি করে। বর্তমানে সরকারিভাবে কাতার যেতে ৪,৫০,০০০ থেকে ৫,০০,০০০ টাকা লাগে। 

কুয়েত 

বিশ্বের সবথেকে দামি মুদ্রা গুলোর মধ্যে কুয়েতি দিনার অন্যতম। কুয়েতে কাজের অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে কাজের ভিসা নিয়ে কুয়েত যেতে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে। 

ওমান 

আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে প্রান্তে ওমান অবস্থিত। এটি মরুভূমির একটি দেশ। এদেশ মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে অনেক উন্নত একটি রাষ্ট্র। 

প্রতিবছর ওমান সরকার হাজার হাজার শ্রমিক আমদানি করে। বর্তমানে এদেশে প্রায় ২২ লাখ প্রবাসী শ্রমিক রয়েছে। বাংলাদেশ থেকেও মন যেতে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে সব থেকে কম খরচে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাওয়া যায়। বিশেষ করে কাজের ভিসায় সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ওমান যেতে সর্বনিম্ন ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। 

এছাড়া এই দেশগুলোতে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে খরচ হয় মাত্র ১ থেকে ২ লাখ টাকা। এছাড়া কম টাকার মধ্যে ইউরোপ মহাদেশের মাল্টা, পর্তুগাল, কানাডা, লিথুনিয়া, বেলজিয়াম ও ফ্রান্সে যাওয়া যায়। 

উপরোক্ত ইউরোপের এই দেশগুলোতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে ন্যূনতম ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগবে। তবে ভিজিট ভিসা নিয়ে গেলে সর্বনিম্ন ৩-৪ লাখ টাকা খরচ হয়। 

কোন দেশের ভিসার দাম কত

গত বছরের তুলনায় এ বছরে প্রত্যেক দেশের ভিসার দাম বাড়ানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মী হিসেবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে সর্বনিম্ন ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাগে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের যেকোন দেশের ভিজিট ভিসার দাম মাত্র ১ থেকে ২ লাখ টাকা হয়ে থাকে।

এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কম খরচে যাওয়া যায়। ইউরোপের স্টুডেন্ট ভিসার খরচ সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা হয়ে থাকে। তবে স্কলারশিপ এর মাধ্যমে যেতে মাত্র ১ থেকে ২ লাখ টাকা লাগে। 

আরো পড়ুনঃ ইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা লাগে

কম খরচে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়

অর্থনৈতিক কারণে সকল জায়গায় আমাদের ভ্রমণ করা সম্ভব হয় না। কম খরচে দেশে বাইরে ভ্রমণ করার অন্যতম স্থান হলো ইন্ডিয়া। মাত্র ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ইন্ডিয়া ভ্রমণ করা যায়। 

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সুন্দরতম দেশ কাতার। তিনিও তো হাজার হাজার মানুষ কাতারে অবস্থিত পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করতে আসে। কাতারের টুরিস্ট ভিসার দাম মাত্র ১ থেকে ২ লাখ টাকা। 

শেষকথা 

বাংলাদেশ থেকে যে সকল দেশের দূরত্ব কম ওই দেশগুলোতে কম খরচে যাওয়া যায়। যেমন বাংলাদেশ থেকে ভারত যাওয়ার খরচ সবথেকে কম। মূলত ভিসার উপর নির্ভর করে কোন দেশে যাওয়ার খরচ কত টাকা হবে। তবে টুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট ভিসার দাম কম হওয়ায় টুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট ভিসায় কোন দেশে যাওয়ার খরচ ও কম হয়ে থাকে।

লেখালেখি করতে ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে লেখালেখি করি। আমাদের এই সাইটে ভিসা ও পাসপোর্ট সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে থাকি।

Leave a Comment