কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৪

কুয়েতের অর্থনীতি প্রধানত তেল উৎপাদন এবং রপ্তানির উপর নির্ভরশীল। তেল উৎপাদন ও রপ্তানি ভিত্তিক কুয়েতে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে। যে সকল কোম্পানিগুলো প্রতিবছর বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজের নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

আর বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রবাসী কুয়েতের বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি ভিসায় পৌঁছে থাকেন। আর কুয়েত বিশ্বের অন্যতম একটি ধনী দেশ। সেক্ষেত্রে কাজ অনুযায়ী সকল কর্মীদের বেতন তুলনামূলকভাবে অনেকটা কম আবার ভালো বেতন পাওয়া যায়।

তবে কুয়েতে কোম্পানি ভিসায় যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত তা বিস্তারিত জেনে নিবেন। যেমন কুয়েতের কোম্পানি ভিসার নূন্যতম বেতন ৩৫০০০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। এবং কাজের ধরনের অনুযায়ী সর্বোচ্চ লক্ষ টাকা।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

বাংলাদেশের কোম্পানির মতো কুয়েতের কোম্পানির ভিসার বেতন নির্ধারিত থাকে না। কাজের ধরন,  ব্যক্তির অভিজ্ঞতা, কোম্পানির বৈশিষ্ট্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কুয়েতের অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারিত হয়।

তবে কুয়েতে সকল কোম্পানি ভিসায় মাসিক বেতন প্রদান করা হয়। এবং বছরে ১ থেকে ২ বার বোনাস দেওয়া হয়। আর কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা হবে তা চাকরি অফার লেটারে উল্লেখ করা থাকে।

যেমন স্বাভাবিকভাবে কুয়েতের কোম্পানি ভিসার ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করা হয় ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। ঠিক একইভাবে কুয়েতের কিছু কিছু কোম্পানি ভিসায় বেতন নির্ধারণ করা হয় দেড় লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা। যেমনঃ

  • কুয়েতে শ্রমিক হেল্পারের বেতন ৩৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা।
  • কোম্পানি ভিসায় ডেলিভারি বয়ের বেতন ৪৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা।
  • একজন ইলেকট্রিশিয়ান এর বেতন ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।
  • কুয়েতের ড্রাইভার এর বেতন ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।
  • এসি মেকানিকের বেতন ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা।
  • ওয়েল্ডারের বেতন ৩৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা।
  • প্লাম্বারের বেতন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত

কুয়েতের পারমিট ভিসা হোক অথবা যেকোনো ধরনের কোম্পানি ভিসা হোক। সব মিলিয়ে কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারিত হয়।

যেমন কুয়েতের কিছু কিছু কাজের সর্বনিম্ন বেতন ৩৫০০০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। এবং কিছু কাজের বেতন ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা।

কুয়েত ভিসার দাম কত

কুয়েতের ভিসার দাম নির্ভর করে ভিসার ক্যাটাগরির উপর। কারণ সকল ভিসার দাম বিভিন্ন কারণে কম বেশি হয়। যাত্রার সময়, ভিসার ক্যাটাগরি, কি ভিসা তৈরি করছেন তার উপর নির্ভর করে।

ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে পারেন। তবে কুয়েতের নূন্যতম ভিসার দাম ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। যেমনঃ

  • কুয়েত ফ্রি ভিসার দাম ৫-৭ লাখ টাকা।
  • কুয়েত ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম ৭ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা।
  • কুয়েত কোম্পানি ভিসার দাম ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা।
  • কুয়েত-টুরিস্ট ভিসার দাম ৪-৫ লাখ টাকা।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার উপায়

বর্তমানে দু’ভাবে কুয়েতের ভিসা পাওয়ার উপায় এবং সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারিভাবে কুয়েত যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

কোম্পানি ভিসা পাওয়ার প্রথম উপায় বাংলাদেশ সরকারি ওয়েবসাইট বোয়েসেলে প্রতিনিয়ত অনুসন্ধান করা। দ্বিতীয়ত খুবই বিশ্বস্ত এবং পরিচিত এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করা।

শেষ কথা

দীর্ঘ ৮ বছর পর কুয়েতের ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য চালু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ধরনের দালাল বা প্রতারকেরা প্রতিযোগিতায় নেমে গিয়েছেন। তাই সাবধানতার সঙ্গে কুয়েতের ভিসা সংগ্রহ করুন। ধন্যবাদ

লেখালেখি করতে ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে লেখালেখি করি। আমাদের এই সাইটে ভিসা ও পাসপোর্ট সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে থাকি।

Leave a Comment