মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র United States of America উত্তর আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত পঞ্চাশটি অঙ্গরাজ্য, একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলা ও পাঁচটি টেরিটোরি নিয়ে গঠিত।
আমেরিকা উন্নত শীল দেশ হওয়ায় উচ্চ ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে অনেকে আমেরিকা যায়। পৃথিবীর সব থেকে জনপ্রিয় এবং উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকায় অবস্থিত।
বর্তমানে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া তুলনামূলক কঠিন। তবে সরকারি ভাবে বা স্কলারশিপের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসা সহজে পাওয়া যায়।
স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আমেরিকার যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে। তবে সরকারি ভাবে ন্যূনতম ২ লাখ টাকা খরচ করে আমেরিকা পড়াশোনার জন্য যাওয়া যায়।
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪
বর্তমানে পৃথিবীর সব থেকে ধনী ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র আমেরিকা। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ ডিগ্রি অর্জন করে থাকে।
তবে অন্যান্য দেশের চেয়ে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকা থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করে আসছে।
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
সকল শিক্ষার্থী আমেরিকা গিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না। কারণ আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আলাদা কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হয়।
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার প্রথম যোগ্যতা IELTS স্কোর অনেক বেশি থাকতে হবে। কেননা IELTS স্কোর যত বেশি হবে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
এছাড়া আমেরিকা পড়াশোনার খরচ অনেক বেশি। তবে স্কলারশিপ পেলে মাসিক বেতন ও অন্যান্য ফি কম পরিশোধ করতে হয়। তাই আমেরিকা কলারশিপের আবেদন কার্যক্রম শুরু হলে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যাওয়ার উপায়
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
USA স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করার সময় ভিসা এজেন্সিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। ডকুমেন্ট সঠিক থাকলে ১২ দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যেই স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি হয়ে যায়।
- স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন ফরম
- বৈধ পাসপোর্ট এর ফটোকপি
- ভোটার আইডি কার্ড বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ফটোকপি
- চারিত্রিক/নাগরিক সনদপত্র
- ঠিকানার প্রমাণস্বরুপ গ্যাস/পানি/বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি
- IELTS স্কোর সার্টিফিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- করোনা ভ্যাকসিনের টিকা কার্ড
- অফার লেটার
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল রিপোর্ট
উপরের উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো USA ভিসা এজেন্সিতে জমা দিতে হবে। তবে অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে কাগজপত্র পরিবর্তিত হতে পারে।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের নিয়ম
অনেক স্টুডেন্টদের স্বপ্ন থাকে বিশ্বের বড় কোন একটি দেশে গিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করা। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর ইচ্ছা তারা আমেরিকা গিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করবে। যার কারণে তারা স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চায়।
এখন আপনি ঘরে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ঘরে বসে আবেদন করার জন্য https://bd.usembassy.gov/bn/visas-bn/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
তারপর আবেদনের প্রক্রিয়াসমূহ শেষ করে আবেদন ফি পরিশোধ করুন। অনলাইন আবেদন ফি ১৪ হাজার টাকা। তবে অফলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদন ফি ১৭ হাজার টাকা হতে পারে।
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত?
সাধারণত আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসার সর্বনিম্ন খরচ প্রায় ৫/৬ লক্ষ টাকা। তবে স্কলারশিপ নিয়ে যেতে পারেন সেক্ষেত্রে খরচ অনেক কম হবে। এছাড়া সরকারি এজেন্সির সাহায্যে স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করতে প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ হয়।
আরও পড়ুন- ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৪
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট
আমেরিকা যাওয়ার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্টস। কারণ আপনার আর্থিক সচ্ছলতা প্রমাণ করার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একই রকম ভাবে স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রেও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দরকার। ভিসার আবেদন করার সময় বিগত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে।
শেষ কথা
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। জাতির উন্নতি করতে হলে সকলের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে। শিক্ষার কোন শেষ নেই। তাই অনেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকা যাওয়ার পরিকল্পনা করে। তবে আমেরিকা পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসা তৈরি ও বিমানের টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে দালাল থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ধন্যবাদ।
FAQ’s
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য বাংলাদেশে কোন এজেন্সি ভালো?
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য সব সময় সরকারি এজেন্সিতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। সরকারি এজেন্সিতে ভিসার খরচ অনেক কম।
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
USA স্টুডেন্ট ভিসা পেতে ১/২ মাস সময় লাগে। আবার অনেক সময় এর থেকেও কম বা বেশি সময় লাগে।
স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে?
স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা লাগে। এছাড়াও স্কলারশিপ পেলে আরো কম টাকা লাগবে।